সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দিকী এনডিসি বলেছেন, নারীকে পিছিয়ে রেখে দেশ ও সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী হচ্ছে নারী। আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে নারীদের অবদান অসামান্য।
আমাদের প্রধান রপ্তানিযোগ্য পণ্য হচ্ছে গার্মেন্টস পণ্য। আর এটি যারা তৈরি করেন, তাদের অর্ধেকের বেশি নারী। নারীর উন্নয়ন অগ্রগতির মধ্যে উন্নয়ন ও সমাজের উন্নয়ন নির্ভরশীল। উন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্যসহ সব সূচকে পেছনে ফেলেছি। এটির অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের দেশের নারীরা শিক্ষিত। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন। তাঁর নেতৃত্বেই নারী সমাজ বিশ^দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াবে।
তিনি শুক্রবার (৯ মার্চ) বিকাল ৩টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সিলেট উইমেন চেম্বার কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর সহযোগিতায় নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আলোচনা সভা ও সম্মননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা মালেমহান দেবী, সেরা সৃজনশীল খালেদা বেগম লুনা ও সেরা নির্ভীক নারী উদ্যোক্তা সাজনারা বেগম কে সম্মাননা দেয়া হয়।
সিলেট উইমেন চেম্বার কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক তাসমিন আক্তারের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ বেতারের উপস্থাপক জান্নাতুল নাজনীন আশার পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট উইমেন চেম্বার কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, ভারতীয় হাই কমিশনের সেক্রেটারি শকুন্তলাদ কার্লা, আইএলও এর সিটিএ প্রোগ্রাম প্রজেক্টর পেডরো জুনিয়র বেলেন,
অতিরিক্তি উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) রাখী রানী দাস, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মারিয়াম চৌধুরী মাম্মী। সম্মাননা সিলেকশন কমিটির বিচারকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির পলিটিকাল স্টাডিজ এর জায়েদা শারমিন, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক প্রণব কান্তি দেব, সাহিত্যকর্মী সুমন কুমার দাশ প্রমুখ।